নিজস্ব প্রতিবেদক : আমি মোঃ আসাদুজ্জামান জনি, পিতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদার, সাং- নওয়াপাড়া বাজার, ওয়ার্ড নং -৬, থানা- অভয়নগর, জেলা- যশোর। আমার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স জনি এন্টারপ্রাইজ ও কণা ইকো পার্ক। আমার শিপিং ব্যবসাসহ অন্যান্য ব্যবসা আছে। আমি বর্তমানে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক। অত্যন্ত সুনামের সাথে নওয়াপাড়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও নওয়াপাড়া ইনস্টিটিউটের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদে আছি। গত ০৫-০৫-২০২৫ইং তারিখ শনিবার যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যান পত্রিকার প্রথম পাতায় " ঘাট- মাদক সব নিয়ন্ত্রনে অপ্রতিরোধ্য জনি” প্রধান শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি প্রকাশিত সংবাদটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর ও সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ীদের লালনকারী সাংবাদিকতার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজ খ্যাত হলুদ সাংবাদিক দৈনিক কল্যান পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এহসান-উদ-দৌলা মিথুনের এহেন ন্যক্কারজন কাজের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছি। পাশাপাশি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া দৈনিক কল্যান পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক এমন হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনসহ অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ভৈরব নদের বালু উত্তোলন করে ভৈরব নদকে ধ্বংস করায় জনভোগান্তি লাঘবে প্রতিবাদ করি আমি। পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসর সন্ত্রাসী জাহিদ গাজীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেই। এ ঘটনার পর যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক কল্যানের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এহাসন-উদ-দৌলা মিথুন আমাকে একাধিকবার ফোন করে জাহিদ গাজীর সাথে সমাঝোতা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে অন্যথায় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের হুমকি দেয়। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাহিদ গাজীর সাথে কোন সমঝোতা করতে রাজী না হওয়াই এবং কাকতালিয়ভাবে ০৫-০৫-২০২৫ ইং তারিখে সন্ত্রাসী জাহিদ গাজী প্রশাসনের হাতে আটক হওয়ায় হিতাহিত জ্ঞান শূণ্য হয়ে পড়েন এহসান-উদ-দৌলা মিথুন। তিনি তার নিজের পত্রিকায় মিথ্যা ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নওয়াপাড়ায় আমার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী ও দখলবাজির কোন অভিযোগ নাই। আমার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও কর্মী ছাড়া আমার কোন বাহিনী নাই। আমার রাজনৈতিক সফলতা ও কর্মীবান্ধব মানসিকতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, নিজ দলের থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হায়দার ডাব্লুসহ কতিপয় কুচক্রী নেতা ইতিপূর্বে আমার বিরুদ্ধে যশোর জেলা বিএনপির কাছে ভিত্তিহীন একাধিক অভিযোগ করে। জেলা বিএনপি তদন্ত করে কোন সত্যতা না পওয়ায় একই অভিযোগ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পাঠান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গণতন্ত্রের প্রতিক তারেক রহমানের কাছেও পাঠান। কেন্দ্রীয় বিএনপিও এর কোন সত্যতা না পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু হলুদ সাংবাদিক মিথুন বিএনপি নেতা ডাব কাজীর সাথে বিশেষ স্বার্থসংশ্লিষ্ট সখ্যতায় সেই মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ গুলো তুলে ধরে পূণরায় নিজের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমি দ্ব্যার্থহীন ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে ঘোষণা করছি নওয়াপাড়ায় কোন ঘাট দখল হয়নি। প্রতিটি ঘাট স্ব স্ব মালিকদের দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে। কোন মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নওয়াপাড়ার আপামর জনসাধারনের ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম।