নিজস্ব প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গণ অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা বিষয়ক সহ-সম্পাদক মো. রবিউল আউয়াল অন্তর (২৫) বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে নিখোঁজ হয়েছেন।
কলাপাড়া পৌরশহরের মহিলা কলেজ সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে কলাপাড়া -কুয়াকাটা মহাসড়ক সংলগ্ন ফোরলেন-সিক্সলেন এর মধ্যবর্তী এলাকা থেকে এ নিখোঁজের ঘটনা ঘটে । তাঁর বাড়ী কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের দাসের হাওলা গ্রামে। সে ওই গ্রামের মো.সোলাইমান মৃধার ছেলে।
পুলিশ তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের পায়রা পোর্ট ফোরলেন ও সিক্সলেন সড়কের রজপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়ক থেকে পার্কিং করা অবস্থায় উদ্ধার করেছে। মোটর সাইকেলটিতে রবিউল আউয়াল অন্তর লেখা রয়েছে। এর কিছুটা দূর থেকে একটি হেলমেট উদ্ধার করা হয়। পুলিশ কলাপাড়া থানায় একটি জিডি করেছে।
এ ঘটনায় রবিউল আউয়াল অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলো জার্জিস তালুকদার, শাহ আব্দুল মাওলা হেলাল, জিকো, শহিদুল ভুঁইয়া, রেজওয়ান শাহিন মৃধা, আরসেদ আলী মৃধা।
এ ব্যাপারে তুষার আল মামুন বলেন, পৌর শহরের ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস ‘গ্রাফিক্স ওয়াল’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে গতকাল রাতে ১১ টার দিকে মোটরসাইকেল ড্রাইভ করে বাড়িতে ফিরছিল অন্তর। এরপর গভীর রাতে থানার মোবাইল পেয়ে বিষয়টি জানেন তারা।
অন্তরের বাবা মো. সোলাইমান মৃধা বলেন, আমার ছেলে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ক্ষতিপুরন আদায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরিসহ আট দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। এতে তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকিও দেয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
ঢাকার সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক, কলাপাড়ার লতাচাপলীর এলাকার বাসিন্দা, ঢাকার কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী বনি আমিন সিফাত এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এসব কাজ ফ্যাসিবাদের দ্বারা হবে, এখনো এ ধরনের কাজ মেনে নেয়া যায় না।
রবিউল আউয়াল অন্তরের স্ত্রী মোসাঃ তানজিলা বলেন, আমার স্বামী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছিল। তাকে এক ঘন্টার মধ্যে বের করার আল্টিমেটাম দেন তিনি।
কলাপাড়া থানার ওসি মো.জুয়েল ইসলাম জানান, থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক ইউনিট রবিউল ইসলাম অন্তরের সন্ধানে মাঠে নেমেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আ/স/০৭/০২/২০২৫/আকাশ