
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকদের ঢল নেমেছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে। শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি ও শবে বরাতের সরকারি ছুটি মিলিয়ে পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে কুয়াকাটা পর্যটন নগরীতে। একই সঙ্গে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হওয়ায় পর্যটন এলাকা ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই সৈকতে রং-বেরঙের পোশাকে সজ্জিত হয়ে যুগল সহ প্রিয় মানুষদের সঙ্গে নিয়ে অনেকেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে এসেছেন । অনেককেই আবার প্রিয়জন সহ ছাতার নিচে বেঞ্চে বসে সমুদ্রের ঢেউ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেখা গেছে। কেহ কেহ সমুদ্রের পানিতে হাত ছানি দিচ্ছেন এবং গোসল সেরে নিচ্ছেন। অনেকে ঘোড়ার পিঠে চড়ে ঘুরছেন এবং ওয়াটারবাইকে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছেন। ভালোবাসা দিবসের স্মৃতি স্বরূপ কেহ আবার প্রিয়জন কে নিয়ে সেলফি তুলছেন। এদিকে ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, লেম্বুর চর, লাল কাঁকড়ার চর, মিশ্রিপাড়া, কাউয়ার চর,শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁতপল্লি, শুঁটকিপল্লী, ফিস ফ্রাইপল্লীতেও পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ছুটির দিনে পর্যটকদের উপস্থিতিতে হোটেল মোটেল সহ ব্যবসায়ীদের আর্থিক গতিশীলতা আনতে সহায়ক হবে বলে অনেক ব্যবসায়ী
মনে করেছেন। এই মৌসুমে জানুয়ারির শুরু হতে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় ধীরে ধীরে পর্যটক বাড়তে থাকে।
এদিকে রাজশাহী হতে কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে এক যুগল বলেন জীবনের প্রথম কুয়াকাটা আসা। খুব ভালো লাগছে তার উপর ভালোবাসা দিবসে আমরা আনন্দ উপভোগ করতে এখানে ঘুরতে এসেছি।
হোটেল সি ক্রাউন ইন এর জিএম ফজলু মোল্লা বলেন আগের বছরের তুলনায় এবার পর্যটক সমাগম বেড়েছে। এখন সাপ্তাহিক ছুটির দিন, পবিত্র শবে বরাতের ছুটি ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হওয়ায় পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। আমাদের হোটেলের অধিকাংশ রুম বুকিং হয়েছে। তিনি আরো বলেন পবিত্র রমজানের আগ পর্যন্ত আশা করি এভাবেই পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়বে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রশাসন বলেন, সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। ছুটির দিনে পর্যটকদের উপস্থিতি বেশি থাকায় বিভিন্ন টীমে বিভক্ত হয়ে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে।
আ/স/১৪/০২/২০২৫/আকাশ