
মোঃ সোহাগ : পটুয়াখালীর মহিপুরে সাংবাদিক ও যুবদল নেতা মিরনের উপর দুর্বৃত্তদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মহিপুর থানা শাখার উদ্যোগে ৮ ফেব্রুয়ারি ‘২০২৫ শনিবার বিকাল ৪ টায় মহিপুর থানা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মহিপুর থানা শাখার নেতৃবৃন্দ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মিছিল টি বিএনপি ‘র থানা শাখা কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তহশীল অফিস সংলগ্ন ব্রীজের নিচের সড়কে এসে শেষ হয়। সেখানে প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মিরনের উপর দুর্বৃত্তদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বক্তারা বলেন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের হাসিনা এ দেশে থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানে বসে চক্রান্ত করে তাদের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে আজকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। গত সতের বছর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে,গুম করে, হত্যা করে এদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে ছিল। ছাত্র-জনতা ও জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি’র অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনের মাধ্যমে ঐ আওয়ামী হাসিনার জালিম সরকার কে জনগণ বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা রাতের আঁধারে বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ ও দেওয়াল লিখন করে। ঐ আওয়ামী লীগের কাছে এদেশের জনপথ ও জনগণ নিরাপদ নয়। এমনকি সাংবাদিকরা পর্যন্ত নিরাপদ নয়। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য আজও উদঘাটিত হয়নি, এই পর্যন্ত ১০০ বারের বেশি মামলার রায় পিছিয়েছে। এখন আবার তাদের সন্ত্রাসীদের দিয়ে মহিপুর ও কুয়াকাটায় সৎ, মেধাবী ও তরুণ সাংবাদিক ও অত্যন্ত জনপ্রিয় যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম মিরনের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তিনি এখন ঢাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মহিপুর থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মিরনের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই। পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা আরো বলেন, মহিপুর ও কুয়াকাটা পর্যটন এলাকা বিধায় এখানে শাস্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে যেকোনো ধরনের নাশকতা,হামলা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ যাতে পরবর্তীতে সংগঠিত না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের প্রশাসন কে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বক্তারা আরো বলেন মিরনের উপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে অন্যথায় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা যেকোনো কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বলেন সাংবাদিক ও যুবদল নেতা মিরনের উপর দুর্বৃত্তদের বর্বরোচিত হামলায় শুধু আক্রমণ নয় তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গুরুতরভাবে কুপিয়ে জখম করেছে। অতিদ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানান। মহিপুর বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দ্বয় আরো বলেন, মহিপুর থানার আওয়ামীলীগের লোকজনদের কোনো বিএনপি কর্মী যদি প্রশ্রয় দেয় তবে ঐ বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা যত বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হোক তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশ।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন আঃ জলিল হাওলাদার, সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি , মহিপুর থানা শাখা।এ্যাডভোকেট শাহজাহান পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল – বিএনপি মহিপুর থানা শাখা। মহিউদ্দিন মুসুল্লী সুলতান, সিনিয়র সহ-সভাপতি বিএনপি মহিপুর থানা শাখা। সেলিম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি, মোঃ ইউসুফ হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক, বিএনপি মহিপুর থানা শাখা, মিজানুর রহমান, সভাপতি মহিপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপি। এছাড়াও উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন মহিপুর থানা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, ছাত্রদল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতীদল, বিভিন্ন ইউনিয়নের ও ওয়ার্ডের সভাপতি – সম্পাদক সহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য,গত ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটায় সাংবাদিক ও যুবদল নেতা মিরন নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় লুকিয়ে থাকা দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর জখম হয়ে বর্তমানে ঢাকায় বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আ/স/০৯/০২/২০২৫/আকাশ