এম. আর. কমল: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে দি মেট্রোপলিটন খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ব্যববস্থাপনা কমিটি, আভ্যন্তরীন নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ কমিটি এবং ঋণদান কমিটিসহ মোট তিনটি কমিটি ২২টি পদের জন্য দুটি প্যানেলে মোট ৪৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বি অংশগ্রহণ করেন।

এ নির্বাচনে আগষ্টিন প্রতাপ-ডিউক-পেপিলন-জেমস-ইউজিন পরিষদ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। তাঁদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে আগষ্টি প্রতাপ গমেজ ৪৯৯১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নোয়েল চার্লস গমেজ মাত্র ১৪৪৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। সেক্রেটারি পদে পেপিলন হেনরি পিউরিফিকেশন ৪৮৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি অজমান্ড পিটার মণ্ডল মাত্র ১৪০৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ডিউক প্রদীপ রোজারিও ৪৫৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিজয় লিনুস রোজারিও মাত্র ১৪০৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

পচিালক অর্থ ও প্রশাসন পদে জেমস ডি রোজারিও ৪৬৫৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মি. শুভজিৎ সাংমা ১৪৯৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

ট্রেজার পদে ইউজিন কোড়াইয়া ৪৬৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।তাঁর নিকটতম প্রতদ্বিন্দ্বি শ্রীলা তেরেজা সরকার ২৪৮৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য পদে যথাক্রমে প্রদীপ আগষ্টিন গমেজ ৪৩৫৬ ভোট, সুজয় পিউরিফিকেশন ৪৩৮৯ ভোট, শুভ রঞ্জন চিসিম ৪০৪০ ভোট, মি. এইচ হিলারিশ হাউই ৩৯০৭ ভোট, গিলবার্ট গমেজ ৪১৭৫ ভোট, ডন ক্লারেন্স হাওলাদার ৪০৫৭ ভোট ও লিংকার্স রোজারিও ৪৩২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

আভ্যন্তরীন নীরিক্ষা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির চেয়ারম্যান পদে রবার্ট সাইমন গমেজ ৪৫৪১ ভোট এবং ৪৭৫৭ ভোট পেয়ে বীরেন বি গমেজ সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

আভ্যন্তরীন নীরিক্ষা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য পদে যথাক্রমে মায়া মল্লিকা গাঙ্গুলী ৪৫৩২ ভোট ও রনী মাইকেল গমেজ ৪১৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

ঋণদান কমিটির চেয়ারম্যান পদে আসিসিউস পালমা ৪৩৮১ ভোট ও সেক্রেটারি পদে উজ্জ্বল ফ্রান্সিস রিবেরু ৪৭৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

এ কমিটির সদস্য পদে যথাক্রমে রনী ফ্রান্সিস গমেজ ৪৬৬৩ ভোট, টমাছ টনী গমেজ ৪২৯৬ ভোট ও লিনসন গমেজ ৪৪২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, রানিং কমিটির তথা পরপর চার মেয়াদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরিফিকেশনের তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। কোনো অবস্থাতেই যেনো কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়; শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যেনো সদস্যরা তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন সেদিকে সর্বদা তাঁর সজাগ দৃষ্টি ছিলো। সমবায় অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব সদস্য ও সেনাবাহিনীর সদস্যগণ নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

রানিং কমিটির চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউফিকেশন ৩ নম্বর বুথের ২ নম্বর সিলঘরে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তাঁর মূল্যবান ভোগ প্রদান করেন।

এরপর তিনি মিডিয়া কর্মীদের সামনে সংক্ষিপ্ত আকারে মতামত ব্যক্ত করেন। প্রায় মধ্যরাতে ফলাফল ঘোষণার পূর্বে তিনি পরবর্তী নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য পেশ করেন।

আ/স/০৯/০২/২০২৫//আকাশ