পটুয়াখালী এলএ শাখায় কানুনগো ও সার্ভেয়ারদের ঘুষ না দিলে ইপিজেডের ও পায়রা বন্দরের টাকা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও পায়রাবন্দের এলে কেস০৫/২০২২-২৩ দুমকী সেনানিবাসের ক্ষতিগ্রস্তদের জমির ফাইল আটকে ৯\১০ শতাংশ ঘুষের টাকা দাবি করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কানুনগো ও কতিপয় এল.এ শাখার সার্ভেয়ারেরা । এ বিষয়ে বিভিন্ন সমায়ে ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা কিন্তু কোন কাজ হয় না।

লিখিত অভিযোগ বলা হয়েছে, আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামে সরকার চার শতাধিক জমি ও পায়রা বন্দরের অধিগ্রহণ করেন। কিন্তু সেই জমির টাকা পেতে ৯/১০ শতাংশ টাকা ঘুষ দাবি করেন এল.এ শাখার কানুনগো ও সার্ভেয়ারা,তাদের ঘুষের টাকা না দিলে ভুক্তভোগীদের ফাইল দিনের পরদিন আটকে রাখেন সার্ভেয়ার ও কানুনগো । তবে সার্ভেয়ারদের ঘুষের টাকা দিলে জমিজমার ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করলেও টাকা পাচ্ছেন অনেকে। এছাড়া বেশকিছুদিন আগে একই বিষয়ে সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসাইন, নাজমুল, শাহাবুদ্দিন মুন্সি, সহ বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন মৃধা,
তবে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি তারা যেন সার্ভেয়ারদের ঘুষ দেয়া ছাড়াই টাকা তুলতে পারেন এমন দাবি করেন অনেক ভুক্তভোগীরা।
পটুয়াখালী ডিসি অফিসে এল/এ শাখার দুর্নীতি অভিযোগ রয়েছে অনেক পটুয়াখালী ডিসি অফিসের ভূমি অধিকরণ শাখা এল/এ কানুনগো এবং সার্ভেয়ার দের নামে বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি, জ্ঞাত বহিভূত সম্পদ সম্পত্তি এবং ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে জানা যায় এখানে প্রত্যেক কানুনগো এবং সার্ভেয়ারদের নামে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে জ্ঞাত বহিভূত সম্পদ সম্পত্তি অর্জন এবং দুর্নীতি এবং ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রত্যেকে কোটিপতি বনে গেছেন।
কানুনগো এবং সার্ভেয়ার দের নাম প্রকাশ করা হলো যথাক্রমে, কানুনগো ফজলুর রহমান এল/এ শাখায় কর্মরত ছিলেন বর্তমানে এস/এ শাখায় পদমর্যাদা হয়েছে কিন্তু সে এখনো এল/এ শাখায় কাজ করে চলছে,কানুনগো ইব্রাহিম এল/এ শাখা, কানুনগো শহিদুল এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার আসাদ এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার আবুল কালাম এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার মুজিবর এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার নাজমুল এল/এ শাখা,সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সাদ্দাম সহ আরো বেশ কয়েকজন এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে যানা গেছে ।
সার্ভায়ার মোঃ আসাদ সাহেব, ১২% থেকে ১৫%এর নিচে কোন কাজ ধরে না। এর বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরিশালের এর কাছে একাধিক বার নালিশ করে ভুক্তভোগীরা কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এমনকি তার মূল পোস্টিং খুলনা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়,কিন্তু সে পটুয়াখালীতে কর্মরত আছেন ১১ বৎসর যাবদ, খুলনা বিভাগে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী বরাবর আবেদন করলেও অদৃশ্য কারণে তা উপস্থাপন করা হয়না, বরং একজন প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণকারী সার্ভেয়ারকে জেলাপ্রশাসক এর গুরুত্ব পূর্ণ এল এ শাখায় দেয়া হয়।

সার্ভায়ার নাজমুল ও সার্ভায়ার কলাম , ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এর নিকট হতে জানা যায় তাঁরা দুই জন সার্ভায়ার মিলে একাধিক পরিবারের নিকট থেকে বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল ও জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী এর নাম বলে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে বলে যানা যায়, যা বিভাগীয় তদন্ত চলছে।

দুর্নীতির আরেক নাম সার্ভায়ার সাদ্দাম হোসেন, এখন তিনি পটুয়াখালী সদর ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন পটুয়াখালী এলে শাখায় থাকাকালী (ইপিজেড) ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছ থেকে সরাসরি ৯/১০% করে ঘুস নিতেন প্রত্যেক ফাইল থেকে,সার্ভায়ার সাদ্দাম হোসেন কোটি টাকার মালিক এখন।
এলে শাখার কানুনগো মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মোঃ ইব্রাহিম কে টাকা দিলে কাগজ এর কোন প্রোয়জন হয় না, তাদের প্রতি ফাইলে ৫% টাকা না দিলে এই কাগজ নাই ঐ কাগজ লাগবে বলে দিনের পর দিন ঘুরায়। ভুক্তভোগীদের দাবি এদেরকে তাড়াতাড়ি বদলি করে ভালো লোককে নিয়োগ দেওয়া হোক।

আ/স/২০/০২/২০২৫/আকাশ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

পটুয়াখালী এলএ শাখায় কানুনগো ও সার্ভেয়ারদের ঘুষ না দিলে ইপিজেডের ও পায়রা বন্দরের টাকা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা

Update Time : ০৬:১৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও পায়রাবন্দের এলে কেস০৫/২০২২-২৩ দুমকী সেনানিবাসের ক্ষতিগ্রস্তদের জমির ফাইল আটকে ৯\১০ শতাংশ ঘুষের টাকা দাবি করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কানুনগো ও কতিপয় এল.এ শাখার সার্ভেয়ারেরা । এ বিষয়ে বিভিন্ন সমায়ে ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা কিন্তু কোন কাজ হয় না।

লিখিত অভিযোগ বলা হয়েছে, আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামে সরকার চার শতাধিক জমি ও পায়রা বন্দরের অধিগ্রহণ করেন। কিন্তু সেই জমির টাকা পেতে ৯/১০ শতাংশ টাকা ঘুষ দাবি করেন এল.এ শাখার কানুনগো ও সার্ভেয়ারা,তাদের ঘুষের টাকা না দিলে ভুক্তভোগীদের ফাইল দিনের পরদিন আটকে রাখেন সার্ভেয়ার ও কানুনগো । তবে সার্ভেয়ারদের ঘুষের টাকা দিলে জমিজমার ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করলেও টাকা পাচ্ছেন অনেকে। এছাড়া বেশকিছুদিন আগে একই বিষয়ে সার্ভেয়ার সাদ্দাম হোসাইন, নাজমুল, শাহাবুদ্দিন মুন্সি, সহ বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন মৃধা,
তবে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবি তারা যেন সার্ভেয়ারদের ঘুষ দেয়া ছাড়াই টাকা তুলতে পারেন এমন দাবি করেন অনেক ভুক্তভোগীরা।
পটুয়াখালী ডিসি অফিসে এল/এ শাখার দুর্নীতি অভিযোগ রয়েছে অনেক পটুয়াখালী ডিসি অফিসের ভূমি অধিকরণ শাখা এল/এ কানুনগো এবং সার্ভেয়ার দের নামে বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি, জ্ঞাত বহিভূত সম্পদ সম্পত্তি এবং ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে জানা যায় এখানে প্রত্যেক কানুনগো এবং সার্ভেয়ারদের নামে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে জ্ঞাত বহিভূত সম্পদ সম্পত্তি অর্জন এবং দুর্নীতি এবং ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রত্যেকে কোটিপতি বনে গেছেন।
কানুনগো এবং সার্ভেয়ার দের নাম প্রকাশ করা হলো যথাক্রমে, কানুনগো ফজলুর রহমান এল/এ শাখায় কর্মরত ছিলেন বর্তমানে এস/এ শাখায় পদমর্যাদা হয়েছে কিন্তু সে এখনো এল/এ শাখায় কাজ করে চলছে,কানুনগো ইব্রাহিম এল/এ শাখা, কানুনগো শহিদুল এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার আসাদ এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার আবুল কালাম এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার মুজিবর এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার নাজমুল এল/এ শাখা,সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সাদ্দাম সহ আরো বেশ কয়েকজন এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে যানা গেছে ।
সার্ভায়ার মোঃ আসাদ সাহেব, ১২% থেকে ১৫%এর নিচে কোন কাজ ধরে না। এর বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরিশালের এর কাছে একাধিক বার নালিশ করে ভুক্তভোগীরা কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এমনকি তার মূল পোস্টিং খুলনা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়,কিন্তু সে পটুয়াখালীতে কর্মরত আছেন ১১ বৎসর যাবদ, খুলনা বিভাগে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী বরাবর আবেদন করলেও অদৃশ্য কারণে তা উপস্থাপন করা হয়না, বরং একজন প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণকারী সার্ভেয়ারকে জেলাপ্রশাসক এর গুরুত্ব পূর্ণ এল এ শাখায় দেয়া হয়।

সার্ভায়ার নাজমুল ও সার্ভায়ার কলাম , ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এর নিকট হতে জানা যায় তাঁরা দুই জন সার্ভায়ার মিলে একাধিক পরিবারের নিকট থেকে বিভাগীয় কমিশনার বরিশাল ও জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী এর নাম বলে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে বলে যানা যায়, যা বিভাগীয় তদন্ত চলছে।

দুর্নীতির আরেক নাম সার্ভায়ার সাদ্দাম হোসেন, এখন তিনি পটুয়াখালী সদর ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন পটুয়াখালী এলে শাখায় থাকাকালী (ইপিজেড) ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছ থেকে সরাসরি ৯/১০% করে ঘুস নিতেন প্রত্যেক ফাইল থেকে,সার্ভায়ার সাদ্দাম হোসেন কোটি টাকার মালিক এখন।
এলে শাখার কানুনগো মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মোঃ ইব্রাহিম কে টাকা দিলে কাগজ এর কোন প্রোয়জন হয় না, তাদের প্রতি ফাইলে ৫% টাকা না দিলে এই কাগজ নাই ঐ কাগজ লাগবে বলে দিনের পর দিন ঘুরায়। ভুক্তভোগীদের দাবি এদেরকে তাড়াতাড়ি বদলি করে ভালো লোককে নিয়োগ দেওয়া হোক।

আ/স/২০/০২/২০২৫/আকাশ