গলাচিপায় রাজনৈতিক উত্তেজনা; ভিপি নূরের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা, দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও দোকান-বাড়ি ভাংচুরসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৩ জুন শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় গলাচিপা উপজেলা এলজিইডি অফিসে সামনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন গনঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ২৪’শের গণ-অভ্যুত্থানের পূর্বে বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হয়েছি, হাজারো নেতা কর্মীরা এই হামলা মামলার শিকার হয়েছে, শত শত তাজা প্রাণের বিনিময়ে ২৪’শের গনঅভ্যুত্থান জন্ম হয়েছে। ফ্যাসিট সরকারের শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু অপেক্ষা করে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও শৈরাচারী সরকার পতন ঘটিয়ে আজ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ গনঅধিকার পরিষদ নিরলস ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজ এলাকায় রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমার দলের জনপ্রিয়তা দেখে বিএনপির বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা,দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও দোকান-বাড়ি ভাংচুরসহ রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরী করে আসছেন। শুধু,তাই নয় একটি ভূল মেসেজ শুনে প্রকৃত বক্তব্য না জেনে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন প্রপা কান্ড অপপ্রচার করে যাচ্ছে বকুল বাড়িয়াতে পথ সভা করতে গিয়ে হাসান মামুন এর অনুসারীদের হাতে রাতভর অবরুদ্ধ করে রেখেছে,পথের মাজে গাছ ফেলে রামদা, হকিষ্টিক দেশীয় অস্ত্র সহ অপেন মহরা দিলেও পুলিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাদের কোন নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা চাইলে এর জবাব দিতে পারতাম! কিন্তু আমরা তা চাই নি। এলাকায় কোন সহিংসতা হোক, আতংক ছড়িয়ে পরুক এটা আমার চাইনা। তাই নিজেরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে আমরা আমাদের উপজেলায় পৌঁছেছিঁ। তিনি আরো বলেন, ২৪’শের শতশত তাজা প্রাণের বিনিময়ে এই গণঅভ্যুত্থানের পরে সুবিধা নিচ্ছে হাসান মামুনের মতো নেতাদের পরিবার। আমি বিএনপি’র শীর্ষ স্থানের নেতৃবৃন্দের জানিয়েছি, তারা আমাকে আস্বস্ত করেছেন, এখন দেখার পালা! গনঅধিকার পরিষদ দল কোন ভেসে আসেনি, অনেক লড়াই সংগ্রাম করে এই দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিড়িয়ে দেয়ার জন্য ফ্যাসিষ্ট সরকার হাসিনাকে ক্ষমতা রেখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছি। প্রয়োজনে আবারো আমজনতাকে সাথে নিয়ে ফ্যাসিষ্ট এর বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে একটি রাষ্ট্র উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো। এ-সময় জেলা,উপজেলার গনঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা, দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও দোকান-বাড়ি ভাংচুরসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি তৈরী হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ১৩ জুন শুক্রবার ৮:০০ থেকে ১৫ জুন রবিবার সকাল ৮:০০ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিসি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন’র প্রত্যাহারের দাবিতে পটুয়াখালীতে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচি

গলাচিপায় রাজনৈতিক উত্তেজনা; ভিপি নূরের সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ০৮:১৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা, দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও দোকান-বাড়ি ভাংচুরসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৩ জুন শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় গলাচিপা উপজেলা এলজিইডি অফিসে সামনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন গনঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ২৪’শের গণ-অভ্যুত্থানের পূর্বে বিভিন্ন হামলা মামলার শিকার হয়েছি, হাজারো নেতা কর্মীরা এই হামলা মামলার শিকার হয়েছে, শত শত তাজা প্রাণের বিনিময়ে ২৪’শের গনঅভ্যুত্থান জন্ম হয়েছে। ফ্যাসিট সরকারের শেখ হাসিনার রক্তচক্ষু অপেক্ষা করে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও শৈরাচারী সরকার পতন ঘটিয়ে আজ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ গনঅধিকার পরিষদ নিরলস ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজ এলাকায় রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমার দলের জনপ্রিয়তা দেখে বিএনপির বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা,দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও দোকান-বাড়ি ভাংচুরসহ রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরী করে আসছেন। শুধু,তাই নয় একটি ভূল মেসেজ শুনে প্রকৃত বক্তব্য না জেনে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন প্রপা কান্ড অপপ্রচার করে যাচ্ছে বকুল বাড়িয়াতে পথ সভা করতে গিয়ে হাসান মামুন এর অনুসারীদের হাতে রাতভর অবরুদ্ধ করে রেখেছে,পথের মাজে গাছ ফেলে রামদা, হকিষ্টিক দেশীয় অস্ত্র সহ অপেন মহরা দিলেও পুলিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাদের কোন নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আমরা চাইলে এর জবাব দিতে পারতাম! কিন্তু আমরা তা চাই নি। এলাকায় কোন সহিংসতা হোক, আতংক ছড়িয়ে পরুক এটা আমার চাইনা। তাই নিজেরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে আমরা আমাদের উপজেলায় পৌঁছেছিঁ। তিনি আরো বলেন, ২৪’শের শতশত তাজা প্রাণের বিনিময়ে এই গণঅভ্যুত্থানের পরে সুবিধা নিচ্ছে হাসান মামুনের মতো নেতাদের পরিবার। আমি বিএনপি’র শীর্ষ স্থানের নেতৃবৃন্দের জানিয়েছি, তারা আমাকে আস্বস্ত করেছেন, এখন দেখার পালা! গনঅধিকার পরিষদ দল কোন ভেসে আসেনি, অনেক লড়াই সংগ্রাম করে এই দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিড়িয়ে দেয়ার জন্য ফ্যাসিষ্ট সরকার হাসিনাকে ক্ষমতা রেখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছি। প্রয়োজনে আবারো আমজনতাকে সাথে নিয়ে ফ্যাসিষ্ট এর বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে একটি রাষ্ট্র উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো। এ-সময় জেলা,উপজেলার গনঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের অনুসারীরা গলাচিপা, দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গণঅধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুর, নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও দোকান-বাড়ি ভাংচুরসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি তৈরী হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ১৩ জুন শুক্রবার ৮:০০ থেকে ১৫ জুন রবিবার সকাল ৮:০০ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন।